ঢাকা: জেল থেকে কয়েদিরা পালায়। তখন হৈচৈ পড়ে যায় চারদিকে।
যে চিড়িয়াখানায় ঘটেছে এই ঘটনা, সেটি নিয়ে অনেকবারই নেতিবাচক খবর হয়েছে---নানা অব্যবস্থাপনার কারণে। পেঙ্গুইনদলের এই নাটকীয় পলায়নের ঘটনার পর সেইচিড়িয়াখানার বদনাম নতুন করে ছড়াল এখন বিশ্বব্যাপী। এবার পলায়নকাণ্ডটির বর্ণনা দেয়া যাক।
সিসি ক্যামেরার ধারণকৃত দৃশ্য থেকে বোঝা যায়, পেঙ্গুইনগুলো আঁটঘাট বেধেই পলায়নের চেষ্টাটি চালায়। ওরা সবাই মিলে কৌশলে চিড়িয়াখানার লোকদের চোখ এড়িয়ে জনবিরল একটা করিডোর দিয়ে এগিয়ে যায়। কিন্তু মাঝপথেই টের পেয়ে যায় চিড়িয়াখানার কর্মীরা, করিডোরে পেঙ্গুইনের অসংখ্য পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে। পেঙ্গুইনরাও নাছোড়বান্দা। চিড়িয়াখানার লোকেরা তাদের পালাবার ফন্দি টের পেয়ে গেছে বুঝতে পেরে পেঙ্গুইনরা নেয় এবার নতুন কৌশল।
ওরা এবার যেদিক দিয়ে এসেছিল সেদিকে লাগায় ছুট। আর সবাই তখন নিশ্চিন্ত হয়ে ভাবলো পেঙ্গুইনগুলো ওদের থাকার জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু এটা যে ছিল পেঙ্গইনদের একটা চালাকি সেটা তারা বুঝতে পারে নি। ফলে যা হবার তা-ই হলো ---পেঙ্গুইনদের বুদ্ধির কাছে হার মানলো মানুষের বুদ্ধি। সবাইকে বোকা বানিয়ে সবক’টি পেঙ্গুইন পগারপাড়। সবার চোখের সামনে দিয়ে ছুট লাগিয়ে পলায়নে তারা সফলও হয়। খবরের শিরোনাম: ‘Real-life 'penguins of Madagascar' make their great escape from controversial zoo’
পেঙ্গুইনদের এমনতরো দলবেঁধে পলায়নের কাহিনি নিয়ে 'penguins of Madagascar' নামে একটা বিখ্যাত চলচ্চিত্রও আছে। এই পলায়নের ঘটনাটি যেন সেই মুভিরই বাস্তব রূপ। আর হ্যাঁ, চিড়িয়াখানার এই পেঙ্গুইনগুলো কিন্তু সারাক্ষণই টিভি দেখতো! কে জানে ওরা সেই ছবিটাও দেখেছিল কিনা!
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
জেএম