শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি চায়ের জন্য শুভ লক্ষণ হয়ে এসেছে। এর ফলে চা গাছে গজাবে নতুন কুঁড়ি।
প্রতিটি চা বাগানে এখন চলছে চা গাছগুলোকে ছাঁটাই (প্রুনিং)। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে কুঁড়ি ছাড়তে শুরু করবে চা গাছ। আগে কুঁড়ি ছাড়লে আগে চা পাতা চয়ন (উত্তোলন) শুরু হবে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার মো. হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৮টা থেকে থেমে থেমে প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই সময় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি রবিশস্যের জন্য কিছুটা ক্ষতি হলেও চা বাগানের জন্য প্রয়োজনীয়।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১১.৮ মিলিমিটার।
হরিণছড়া চা বাগানের ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন বলেন, ইয়াং টি’র জন্য খুবই প্রয়োজন এ বৃষ্টি। আমরা এখন আমাদের বাগানে ইরিগেশন (সেচ) দিচ্ছি। পানির পরশ পেলে চা-গাছ আগে-ভাগে কুঁড়ি ছাড়তে শুরু করবে। আগে কুঁড়ি পেলে ফ্যাক্টরিতে ম্যানুফেকচারও (উৎপাদন) শুরু হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই) এর পরিচালক ড. মাঈন উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এই বৃষ্টি চায়ের জন্য উপকারী। এর ফলে চা গাছের গ্রোথ বৃদ্ধি পাবে এবং চা গাছে দ্রুত ফ্লাশ দেখা দেবে। মাঝে মাঝে এমন বৃষ্টি হলে সেচ কম লাগবে এবং চায়ের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সহজ হবে।
দেশের চায়ের উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসেও অনেক চা বাগান পাতা চয়ন (উত্তোলন) করেছে। তাই সর্বশেষ রিপোর্টটা এখনও আপডেট হয়ে আমার হাতে আসেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সালে দেশের চায়ের উৎপাদন ৬৬ মিলিয়ন কেজি হবে। ২০১৪ সালে দেশের চায়ের মোট উৎপাদন ছিল ৬৩ মিলিয়ন কেজি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
বিবিবি/জেডএস
** ফিরে এলো উন্নতমানের ‘অর্থডক্স চা’