শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): প্রতি বছরের মতো এবারও বাইক্কা বিল এবং হাকালুকি হাওরে পাখি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলিহুডসের (ক্রেল) সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পরিচালনায় ২২ ও ২৩ জানুয়ারি বাইক্কা বিলে এবং ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি হাকালুকি হাওরে সম্পন্ন হয় পাখিগণনার কাজ।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর বাইক্কা বিলে ৩৮ প্রজাতির মোট ৮ হাজার ৮৩২টি পাখি গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ প্রজাতির পরিযায়ী এবং ২২ প্রজাতির দেশি জলচর পাখি রয়েছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে পাখি শুমারিতে বাইক্কা বিলে ৬ হাজার ৯৯১টি জলচর পাখি রেকর্ড করা হয়েছিল বলে তিনি জানান। এবার ১ হাজার ৮৪১টি পাখি বেশি পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, হাকালুকি হাওরে এ বছর ৫৬ প্রজাতির ৩৪ হাজার ২৬৪টি গণনা করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২১ হাজার ৬৩১টি পাখি এবার হাকালুকিতে বেশি পাওয়া গেছে।
পাখি শুমারি সম্পর্কে ইনাম আল হক বলেন, জলাভূমির সূচক অনুযায়ী শুধুমাত্র জলচর পাখিকেই গণনায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এবার এই পাখিশুমারি ৩০তম এবং এশিয়াতে ৫০তম বৎসর। আন্তর্জাতিকভাবে ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এই পাখি শুমারি সমন্বয় করে আসছে।
পরিযায়ী পাখি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তীব্র শীত ও খাদ্যাভাব থেকে বাঁচার জন্য হাজার হাজার কিলোমিটারের পথ উড়ে আমাদের দেশে আসে এসব পরিযায়ী পাখিরা। নভেম্বর মাসে এবং এপ্রিল পর্যন্ত এরা সাইবেরিযা, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, হিমালয়ের পাদদেশ, চীনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসতে থাকে। আমাদের দেশের নানা প্রান্তরের জলাশয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ওই পাখিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
বিবিবি/এসএইচ