ঢাকা: বাংলাদেশের জাতীয় পশু বাঘ। কিন্তু যতোই দিন যাচ্ছে বাঘের সংখ্যা ততোই কমছে।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার একটি পত্রিকা অফিসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, বাঘ আমাদের গর্ব। বিশ্বজুড়ে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বে মাত্র ৩ হাজার ২শ’টি বাঘ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে আছে ১০৬টি। আমরা টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছি। জনগণের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, বাঘ আমাদের বনের প্রহরী, তাকে মারবেন না।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সুন্দরবনে কী প্রভাব ফেলবে সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে খুব শিগগিরই ইউনেস্কোর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে বলেও জানান তিনি।
ইউএসএইড এর পক্ষ থেকে জানা যায়, বনভূমি ধ্বংস, অবৈধ বন্যপ্রাণী শিকার আরো নানাবিধ কারণে হিসাব মতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমে ১০৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে "জাতীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা কার্যক্রম" শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টাইগার ক্যারাভ্যান নামক উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি বাস বিভিন্ন স্থানে সুন্দরবন ও বাঘ বিষয়ক প্রদর্শনীতে অংশ নেবে।
ইউএসএইডের ইকোনোমিক গ্রোথ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড এনার্জির টিম লিডার ডা. কার্ল উরস্টার বাংলাদেশে বাঘের সম্ভাবনার কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাঘের টিকে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বাঘ সংরক্ষণে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে চাই। ইতোমধ্যে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করেছি। টাইগার ক্যারাভান কার্যক্রমটির উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে বলে আমি আশা করছি।
বাঘ ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। আর সেই দ্বন্দ্ব নিরসনে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। বাঘের হামলায় কোনো মানুষ নিহত হলে ১ লাখ টাকা ও আহত হলে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করেছি।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬/আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা
ইউএম/আরআই/টিআই