ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

ক্ষুরা রোগের টিকা উদ্ভাবন, মূল্য ২০ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৬
ক্ষুরা রোগের টিকা উদ্ভাবন, মূল্য ২০ টাকা

ঢাকা: প্রথমবারের মতো ভাইরাসজনিত পশুর ক্ষুরা রোগের টিকা উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই)। প্রতিটি টিকার মূল্য পড়বে মাত্র ২০ টাকা।



নবোদ্ভাবিত ‘বিএলআরআই এফএমডি-২০১৬ ত্রিযোজি’র ‘মাস্টারসিড’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট।

সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দের কাছে টিকা হস্তান্তর করেন বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. তালুকদার নুরুন্নাহার।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্ষুরা রোগে প্রতিবছর দেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধের জন্য বিদেশ থেকে প্রতিটি ১৫০-২০০ টাকা মূল্যের টিকা আমদানির ফলে সরকারকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়।

নবোদ্ভাবিত প্রতিটি টিকার মূল্য পড়বে মাত্র ২০ টাকা এবং এতে সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ আলম।

বিএলআরআই’র কর্মকর্তারা জানান, ভাইরাসজনিত ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু ৭০-৮০ কিলোমিটার দূরবর্তী সংবেদনশীল পশুকেও আক্রান্ত করতে সক্ষম। গরু, মহিষ এবং ছাগল-ভেড়া এ রোগে আক্রান্তের হার যথাক্রমে শতকরা ৩৫-৫০, ২০-৩০ এবং ১০-২০ ভাগ। এ রোগে গরুর বাছুরের মৃত্যুর হারই সর্বাধিক শতকরা ৫০-৭০ ভাগ। এতে আক্রান্ত পশুর দুগ্ধ উৎপাদন আস্তে আস্তে হ্রাস পায়, গর্ভপাত হয় এবং পশু স্থায়ী শারীরিক সমস্যায় ভোগে।

বিএলআরআই’র প্রকল্প ‘ক্ষুরারোগ ও পিপিআর গবেষণা’র আওতায় আবিষ্কৃত এ টিকা দেশীয় পশুর ভাইরাস থেকে তৈরি বলে এটির কার্যকারিতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৈদেশিক টিকার তুলনায় অনেক বেশি।

‘মাস্টারসিড’ হস্তান্তরকালে প্রতিমন্ত্রী আবিষ্কৃত টিকার দ্রুত উৎপাদন এবং মাঠপর্যায়ে তা সহজলভ্য করার মাধ্যমে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ওপর জোর দেন।

এ আবিষ্কারের ফলে পশুসম্পদের মৃত্যুরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি পশু ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন কর্মকর্তারা।

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে আবিষ্কৃত প্রাণিস্বাস্থ্য সংক্রান্ত গামবোরো, পিপিআর, গোটপক্স ও সালমোলা টিকাও ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অজয় কুমার রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৬
এমআইএইচ/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।