ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ‘মে ফ্লাওয়ার’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, এনভায়রনমেন্ট স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ‘মে ফ্লাওয়ার’ ছবি: শাকিল আহমেদ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): উন্মুক্ত প্রকৃতির মাঝে সগৌরবে মাথা উঁচু করে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে সে। মাটি থেকে উঠে আসার সবুজ ডগার শীর্ষভাগে লাল গোলাকার ফুল।

তাদের হলুদ-সাদা আভা মিশ্রিত।

এভাবেই তার অপরূপ সৌন্দর্যে সবাইকে বিমোহিত করে রাখে ফুলটি। শুধুমাত্র মে মাসই তার জন্ম। মে মাসেই ফুলটি নিজেকে প্রকাশ করে বলে ফুলটি নাম ‘মে ফ্লাওয়ার’। এছাড়া হেমান্থাসলিলি, ফায়ারবল, বল লিলি নামেও তার পরিচিতি রয়েছে। বৈজ্ঞানিক নাম Hemanthus multiflorus। এর জন্মস্থান আফ্রিকা। বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান ও নার্সারিতে এর বিস্তৃতি রয়েছে।  

কোনো গন্ধ নেই, তবুও দেখতে অপরূপ সুন্দর। ফুলপ্রেমিদের দারুণভাবে মুগ্ধ করে। শুধুমাত্র বছরের একটি সময়ে ফোটে বলে সচরাচর এ ফুল কমই দেখা যায়। কোনো সৌখিন ব্যক্তিরাই বাড়ির আঙিনায় এ ফুল গাছ রোপন করেন। মে মাস এলেই লাল আর হলুদ-সাদা রঙের অপূর্ব সমন্বয়ে যেন হেসে ওঠে ফুলটি। সবাইকে না জানিয়ে চুপি চুপি প্রকাশিত হয় সে। মনমাতানো বা মৃদু কোনো ধরনের গন্ধ না থাকলেও দূর থেকে ফুলটিকে দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারও।

এ ফুল দেখতে লোজজন ভিড় জমান প্রস্ফূটিত ফুলটির সেই স্থানে। প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক লেখক ও ‘তরুপল্লব’-এর সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছরই এ গাছ ও ফুলের কোনো অস্তিত্ব থাকে না। বসন্তে দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেই মাটির নিচ থেকে ঘুমিয়ে থাকা কন্দটি যেন প্রাণ ফিরে পায়। উজ্জ্বল গোলাকার এই ফুলটি ফোটে পাতাহীন।

ফুলটির আকৃতি-গঠন সম্পকে তিনি বলেন, ফুটবলাকৃতি গোলকমণির সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ। ফুলটি গড়নের দিক থেকে অনেকটা কদমের মতো। ফুল ফোটার পর ধীরে ধীরে পাতা মাটি ফুঁড়ে বের হতে থাকে। মাটি থেকে গজানো ডাটার উচ্চতা ৩০ সেমি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
বিবিবি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।