ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দুর্যোগ মোকাবেলায় এশীয় দেশগুলোকে সমন্বিত কর্মসূচি নেয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
দুর্যোগ মোকাবেলায় এশীয় দেশগুলোকে সমন্বিত কর্মসূচি নেয়ার আহ্বান

ঢাকা: দুর্যোগ ঝুঁকি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহনশীল ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের জন্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) ভারতের নয়া দিল্লিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ে এশিয়ান দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের তিনদিন ব্যাপী কনফারেন্সে বাংলাদেশের কান্ট্রি পেপার উপস্থাপনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এনজিও, আইএনজিও’র প্রতিনিধিরা এ কনফারেন্সে অংশ নেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করছেন। এশিয়ার ১৬টি দেশের প্রতিনিধিরা এ কনফারেন্সে যোগ দিয়েছে।

এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ সহনশীলতাকে সুসংহত করতে প্রত্যেক দেশকে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সকল উন্নয়নে অংশীদার, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি ও সহায়তা আরও জোরদার করতে হবে।

এশিয়ান দেশগুলোকে দুর্যোগ প্রবণ উল্লেখ করে মায়া বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনায় তথ্য আদান-প্রদান প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত সহায়তা জোরদার করা জরুরি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন খাত ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করছে। বিশেষ করে, গ্রামীণ পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, দারিদ্র্য নিরসন ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সহায়তা তহবিল গঠন করে জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিকে সহনশীল করতে ঘর-বাড়ি উঁচু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের ‘ক্যাম্পেইন ফর রিজিলেন্স’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ কোটি দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপক ও দুর্যোগে দ্রুত সাড়াদানে সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ঢাকা ডিক্লারেশনে গৃহীত ৮টি কর্মপরিকল্পনাকে অনুসরণীয় দলিল হিসেবে গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তিনি এশিয়ান দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
আরএম/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।