তবে পরিষ্কারের নামে আগুনে পুড়ানো যাচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণি ও কীটপতঙ্গের আবাসস্থল। পুড়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণী ও কীট-পতঙ্গ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিক গাছপালা ও তৎসংলগ্ন ঝোপঝাড় এসব বন্যপ্রাণির জন্য প্রাকৃতিক অভয়াশ্রমের কাজ করে। কিন্তু আগুন দিয়ে এভাবে এসব জায়গা পুড়িয়ে ফেলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। খাদ্য ও আবাসস্থলের সংকটে পড়বে প্রাণিকুল। ফলে তারা অন্যত্র চলে যাবে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম সংলগ্ন এলাকা, সুইমিং পুলের চারপাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশ্ববর্তী এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পাশের এলাকার বনজঙ্গল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের অগ্রণী ভূমিকা নেই এমন অভিযোগ কয়েকজন শিক্ষককের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়কে সবুজ ও সতেজ রাখার জন্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সবুজ ক্যাম্পাসের ধারণা থেকে বেরিয়ে গেছে। তাই এখন আর প্রতিবাদ কিংবা অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে বন্যপ্রাণি ও কীটপতঙ্গের আবাসস্থল ও প্রজনন ক্ষেত্রগুলো নষ্ট করা হচ্ছে। আগে যেসব বন্যপ্রাণি দেখা যেতো এখন আর দেখা যায় না। ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার্থে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, আমাদের গার্ডদের দেওয়া তথ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই এই আগুন লাগাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সজাগ আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গার্ডরা সবসময় ক্যাম্পাসে টহল দেয়। কোথাও আগুন লাগলেই তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
আরআর/আইএ