চলতি বাংলা বর্ষের শুরু থেকেই বৃষ্টির দোর্দণ্ড প্রতাপ। অবশ্য তার আগের বছরের শেষ মাস চৈত্রেই অকাল বর্ষণের নজির দেখা যায়।
নববর্ষের প্রথম মাস বৈশাখেও থেমে থেমে হয়েছে বৃষ্টি-ঝড়। শেষ দিনের ঝড়ে তো রাজধানীর অনেক এলাকা গাছ-খুঁটিও ভেঙে পড়ে।
তারই ধারাবাহিকতায় আম-কাঠাল-লিচুসহ ফলের মাস জ্যৈষ্ঠের শুরুও হয়েছে ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব দিয়ে।
সোমবার ভোরেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হয়েছিল। বেলার বাড়ার সঙ্গে সূর্যের প্রভাবও ছিল বেশ। সন্ধ্যের শুরুতেই গ্রীষ্মের তাপদাহ ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাস।
রাত ৯টা থেকেই বাতাসের তাণ্ডবের সঙ্গে নেমে আসতে থাকে ঝড়োবৃষ্টি। ১০টার পর তাতে যোগ হয় বজ্রপাত। আর তাতে ঘরমুখো মানুষ আটকে পড়ে ফুটপাতে দোকানের কার্নিশের নিচে। তবে ঝড়ের হাত থেকে শেষ রক্ষে হয় না। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ঝাঁপটা ভিজিয়ে দিয়ে যায় সবাইকে।
রাত ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, বারিধারা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হচ্ছিল। এ কারণে নগরীর রাতের শ্রমজীবীদের পাশাপাশি ছিন্নমূল মানুষকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এমএন/এইচএ/