আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপ বিহার ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আগামী দুই দিনের এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শুক্রবার (২২ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। তবে ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের কোনো আশঙ্কা নেই।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা, পদ্মা নদীর পানির সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার (২২ জুন) পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আর সুমনা নদী ব্যতীত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির হার আগামী ২৪ ঘণ্টা কমতে থাকবে। হ্রাস পাচ্ছে মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানিও। মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে।
তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাট ও সিলেট, কুশিয়ারার পানি অমলশীদ, শেওলা ও শেরপুর-সিলেটে ও পুরাতন সুরমা নদীর পানি দিরাইয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে বিপদসীমার শূন্য সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন ৯৪টি স্টেশনের মধ্যে ৪২টিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ৪৬টিতে হ্রাস পাচ্ছে বলে রেকর্ড করা হয়েছে। আর বিপদসীমার উপর দিয়ে সাত স্টেশনে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তথ্য পাওয়া যায়নি ছয়টি স্টেশনের।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
ইইউডি/এনটি