ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ৫টি ভয়াবহ সুনামি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ৫টি ভয়াবহ সুনামি বিশ্বে একের পর এক আঘাত হানছে ভয়াবহ সব দুর্যোগ

ঢাকা: গত কয়েক বছরে বিশ্বে একের পর এক আঘাত হানছে ভয়াবহ সব দুর্যোগ। সবশেষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এরপর সৃষ্ট সুনামিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। ছয় ফুট উচ্চতার এ সুনামির আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বহু স্থাপনা। 

ইতিহাসে ঘটে যাওয়া এমন ভয়াবহ পাঁচটি সুনামি নিয়ে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য কিছু আলোচনা-পর্যালোচনা তুলে ধরা হলো:

আচেহ প্রদেশে ‘মেগাথ্রাস্ট’ ভূমিকম্প: ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ। এদিন ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলের দ্বীপ সুমাত্রার আচেহতে আঘাত হানে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প মেগাথ্রাস্ট।

এর পরপরই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামি। যা সোমালিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যায়।  

আচেহতে আঘাত হানে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প মেগাথ্রাস্টসুনামিটি ভারত মহাসাগরের অনেক দেশেই আঘাত হানে। কেবল ইন্দোনেশিয়াতেই ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়। নিহতের সংখ্যা সবথেকে বেশি ছিল আচেহ প্রদেশে।  

এ সুনামিতে বিভিন্ন দেশের আরও ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। সবমিলিয়ে আনুমানিক মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যায়। এটাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগগুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়।

জাপানের সুনামি: ২০১১ সালের মার্চের ১১ তারিখে ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে জাপানে। ৯ মাত্রার ভয়াবহ এ ভূমিকম্প থেকে সৃষ্টি হয় সুনামির।  

জাপানের এ সুনামিতে ১৯ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারান। অনেকেই থাকেন নিখোঁজ। বলা হয়, সুনামিটির ভয়াবহ উচ্চতার পানির গতি ছিল একটি জেট প্লেনের গতির সমান।  

৯ মাত্রার ভয়াবহ এ ভূমিকম্প থেকে সৃষ্টি হয় সুনামিরএ সুনামিতেই ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও প্লাবিত হয়। ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর এটিই সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।  

চিলির ভূমিকম্প ১৯৬০: ১৯৬০ সালের মে মাসে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটির মাত্রার ছিল ৯ দশমিক ৫। এখন পর্যন্ত এটিকেই বিশ্বের ভয়াবহ ভূমিকম্প বলা হয়। এর থেকে সৃষ্টি হয় সুনামির।  

চিলির ভূমিকম্প ১৯৬০উপকূলে সুনামির আঘাতে চিলিতে প্রাণ হারান পাঁচ হাজার সাতশ’র বেশি মানুষ। হাওয়াইয়ে প্রাণ হারান ৬১ জন। দুর্যোগটি জাপান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।  

বলা হয়, চিলির এ সুনামিটির উচ্চতা ছিল ১৬ ফুট।  

মরো উপসাগর: ১৯৭৬ সালের ১১ আগস্ট মধ্যরাত। ফিলিপাইনের মিনদানাও ও সুলু দ্বীপে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। এরপর সৃষ্টি হয় সুনামির। এর উচ্চতা ছিল পাঁচ মিটার।  

এর উচ্চতা ছিল পাঁচ মিটারএ সুনামিতে প্রাণ হারান পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। ফিলিপাইনের ইতিহাসে ভয়াবহ দুর্যোগগুলোর মধ্যে এটি একটি।

পাপুয়া নিউগিনি: ১৯৯৮ সালের জুলাইয়ের ১৭ তারিখ। এদিন পাপুয়া নিউগিনিতে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। দুটির মাত্রাই ছিল ৭। এরপর সৃষ্টি হয় সুনামির। এ সুনামিটি উত্তরাঞ্চলের উপকূলের ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ভেসে যায় সাতটি গ্রাম।  

সরকারি তথ্যানুযায়ী, এ সুনামির ফলে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। তবে স্থানীয়দের মতে, এতে প্রাণ হারিয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়াও ঘরহারা হন ১২ হাজারের বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।