ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ক্রমশ দুর্বল তিতলি: বন্দরে সংকেত কমিয়ে ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
ক্রমশ দুর্বল তিতলি: বন্দরে সংকেত কমিয়ে ৩ উত্তাল সাগর। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। স্থলভাগ দিয়ে এটি উপরের দিকে সরছে বিধায় ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। সেজন্য বাংলাদেশও বড় ধরনের ঝুঁকিমুক্ত বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক (পরিচালকের পক্ষে) স্বাক্ষরিত সর্বশেষ ১৫ নম্বর বিশেষ বুলেটিনের মাধ্যমে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি উড়িষ্যা থেকে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার ঝুঁকি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের এ বুলেটিনে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত  নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে ‘তিতলি’র তাণ্ডব চলে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্ধ্রে প্রলয়কাণ্ড চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

সংবাদমাধ্যম জানায়, ঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতেই শুরু হয় টানা বর্ষণ। আর আঘাত করার পর উড়িষ্যার গানজাম, গজপতি, পুরি, খুর্দ ও জগতসিংপুর এবং অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামসহ বেশ কিছু জেলায় শুরু হয় ভূমিধস। ঝড়ের পর বেশ কিছু সড়ক-মহাসড়কে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। গোপালপুর ও বারহামপুর শহরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সর্বপ্রকার যোগাযোগ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণহানির কোনো খবর মেলেনি।

আরও পড়ুন..

**উড়িষ্যায় আঘাতের পর দুর্বল হয়ে পড়ছে ‘তিতলি’

** তিতলির প্রভাবে নগরে বৃষ্টি

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।