ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বরিশালে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, বইছে ঝড়ো হাওয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
বরিশালে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, বইছে ঝড়ো হাওয়া মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বরিশালজুড়ে শনিবার (০৪ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। পাশাপাশি থেমে থেমে বইছে ঝড়ো হাওয়া।

তবে শুক্রবার (৩ মে) দিনগত রাত ৯টার পর থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত অনেকটা একটানা বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে। এর আগে ও পরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮২ দশমিক ৮ মিলিমিটার।

বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৮ ঘণ্টায় বরিশালে ৮২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্তই ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রণব কুমার বলেন, বর্তমানে বরিশালে তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রয়েছে এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে।  

প্রণব কুমার আরও  বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো বাতাসের গতিবেগ কখনও অনেক বেশি, আবার কখনও অনেক কমে যাচ্ছে। যেমন শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ৭৬ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইছে। আবার শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ৭৫ কিলোমিটার বেগেও বাতাস বইছে। যা আবার নেমে প্রতিঘণ্টায় ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বইছে।

বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায়ের মতে, বরিশালে আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিকেল নাগাদ আবহাওয়া কিছুটা উন্নতি লাভ করার সম্ভবনা থাকলেও অমাবস্যার কারণে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে শুধু বরিশালেই নয় বিভাগের মধ্যে অন্য ৫ জেলাতে দমকা হাওয়া বইছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।   পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় নদ-নদীতে পানির উচ্চতা কিছুটা বেড়েছে। নদীর পাশাপাশি সাগরও কিছুটা উত্তাল রয়েছে।  

অপরদিকে নদীর পানি বাড়ার ফলে বরিশাল বিভাগের ভোলা-পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।   এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় বাতাসে গাছপালা ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে।

সর্বোশেষ তথ্যানুযায়ী বরিশালের ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুক্রবার রাত থেকে কয়েকলাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গবাদি পশু-পাখি নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার (০২ মে) থেকে বিভাগের বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।