ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘ফণী’র প্রভাবে বৃষ্টি, রাজধানীর সড়কে নেই ব্যস্ততা   

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
‘ফণী’র প্রভাবে বৃষ্টি, রাজধানীর সড়কে নেই ব্যস্ততা    রাজধানীর সড়কে নেই ব্যস্ততা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার (০৩ মে) থেকেই দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা ২০ দিন পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি ঝরলেও তাতে কিছুটা দুর্ভোগেই পড়েছেন রাজধানীবাসী।

তবে শনিবার (০৪ মে) সকালে অনেকটা দুর্বল হয়েই বাংলাদেশে প্রবেশ করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর প্রভাবে শনিবার (০৪ মে) সকাল থেকেই রাজধানীতে বাতাগের বেশ গতিবেগ ছিলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সেই বাতাস ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টির পাশাপাশি শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় সকালে রাজধানীর সড়কে লোকজন তুলনামূলক কম দেখা যায়। বাস স্টপেজে কন্ডাক্টরদের যাত্রীর জন্য হাঁকডাক দিতে শোনা যায়। সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। রাস্তায় যেসব বাস দেখা গেছে সেগুলোতে যাত্রীও তেমন চোখে পড়েনি। ফলে যানজটের নগরীতে ছিল না চিরচেনা সেই দৃশ্য।  

এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অফিসগামী লোকজনও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে পেটের তাগিদে নিম্নআয়ের লোকজনকে কাজে বের হতে হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বে রিকশা চালক, ভ্যান চালক, নির্মাণ শ্রমিক ও দিনমজুরদের বের হতে দেখা গেছে।

কুড়িল এলাকার রিকশাচালক শহিদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি ফণী আসবে। সেটা নাকি অনেক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু আমাদের বের হতে হয়। গাড়ি নিয়ে একদিন বের না হলে পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে থাকবে।

এয়ারপোর্ট-বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহনের চালক আক্কাস মিয়াও একই সুরে বলছিলেন, একদিন গাড়ি না চালালে অনাহারে থাকতে হবে। তাই খারাপ আবহাওয়া জেনেও রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলাম।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার বাসিন্দা রাশেদা চৌধুরী বলছিলেন, আজ অফিস নেই। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বের হচ্ছে না।

উত্তরা এলাকার বাসিন্দা রাহাত ইতি বাংলানিউজকে বলেন, ভবনে বাতাসের তুমুল শব্দে সকালে ঘুম ভাঙে। বাংলাদেশে ফণী দুর্বল হয়ে আসায় তিনি আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জানান।

সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেলো, বিক্রেতা পণ্য নিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতা কম। হাতেগোনা ক’জন ক্রেতা সবজি ও মাছ-মাংস কিনতে এসেছেন। রিপন বাঙালি নামের একজন ক্রেতা বলেন, বাসায় কোনো কিছু নেই। তাই সবজিসহ অন্যান্য পণ্য কিনতে বাজারে এলাম।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে উগ্রসর হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ফণী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে উগ্রসর হচ্ছে। এর কেন্দ্রস্থল বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায়। দেশের রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা ও টাঙ্গাইল অঞ্চলজুড়ে ফণী আঘাত হানবে। এছাড়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বর্তমানে ৬২ থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে।

তবে ফণী বাংলাদেশে যেভাবে আঘাত হানার কথা ছিল, সেভাবে আনেনি, এমনকি আনবেও না উল্লেখ করে সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, সকাল ১১টা নাগাদ ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড় হয়ে যেতে পারে দেশে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসও বইছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
টিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।