ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

নেমেছে সতর্ক সংকেত, সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়ছে ২-৫ ডিগ্রি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
নেমেছে সতর্ক সংকেত, সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়ছে ২-৫ ডিগ্রি প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে আগের জারি করা সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার প্রাক্কালে গত কয়েকদিন বৃষ্টি ঝরিয়ে আবারো শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে শুরু হয়েছে সারাদেশে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সারাদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ২-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
 
রোববার (৫ মে) আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।


 
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
 
ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় রূপে শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে আঘাত হানে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল বরিশালে সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার। এর আগের দিন ভারতের উড়িষ্যায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ফণী।
 
ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কায় গত ২ মে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়। ফণীর বিপদ কেটে যাওয়ায় ৪ মে বিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছিল।
 
এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ‘ফণী’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরবর্তীতে এটি আরো দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয় এবং সবশেষে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
 
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে ও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
 
আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এই সময়ে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।
 
রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ১২ মিলিমিটার ও সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ৯০ মিলিমিটার।
 
আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।