ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পঞ্চগড় থেকে দেখা গেলো কাঞ্চনজঙ্ঘা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
পঞ্চগড় থেকে দেখা গেলো কাঞ্চনজঙ্ঘা খালি চোখেই দেখা গেলো কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: দেশের সর্ব-উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত বছরের বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হঠাৎ করেই স্থানীয়দের চোখে ধরা পড়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ।

ঝকঝকে কাঁচের মতো স্বচ্ছ নীল আকাশ আর পরিচ্ছন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে এই পর্বত দেখা মিলছে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া থেকে। তবে গেলো ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বছরের শেষ দিনটিতেও খালি চোখেই ধরা পড়েছিলো কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।

স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যাচ্ছে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। খালি চোখেই দেখা গেলো কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।                                          ছবি: বাংলানিউজবিশেষ করে শরৎ, হেমন্ত আর শীতের মাঝামাঝি সময়ে মেঘমুক্ত আকাশে প্রায় প্রতিদিনই হিমালয়ের দেখা মিলছে। তবে, এবার দেখা গেছে একটু ভিন্ন। আর এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে প্রতি বছরই অসংখ্য পর্যটক দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তেঁতুলিয়ায় ঘুরতে আসেন।

মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা খালি চোখেই দেখা মিলছে ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং আকাশ পরিষ্কার থাকলে দুপুর গড়িয়ে এলেও দেখা মিলছে এর রূপ। এরপর ক্রমান্বয়ে আবার ঝাপসা হয়ে হারিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে শেষ বিকেলে সূর্যকিরণ যখন তির্যকভাবে বরফাচ্ছাদিত পাহাড়ে পড়ে তখন অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে আবারও ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা।

তেঁতুলিয়ার একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্য আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, গত ৫ ডিসেম্বর পুরোপুরিভাবে উঁকি দিয়েছিলো কাঞ্চনজঙ্ঘার। এরপর মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য দেখা গেলেও বছরের শেষ দিনটিতেও পুরোপুরিভাবে দেখা দিয়েছিলো।

রনি মিয়াজী নামে আরেকজন জানান, মেঘমুক্ত আকাশে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে, বুধবার (১ জানুয়ারি) আকাশ পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত না থাকায় দেখা মেলেনি এই পর্বতের।

জেলার সর্ব উত্তরের সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ায় ডাক বাংলোতে দাঁড়িয়ে মহানন্দা নদীর পাড় থেকে এবং বাংলাবান্ধা গিয়ে উত্তরের মেঘমুক্ত আকাশে তাকালেই চোখে পড়ে হিমালয়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ নেপাল ও ভারতের সিকিম সীমান্তে অবস্থিত। বাংদেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন (স্থলবন্দর) থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২শ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, শিলিগুড়ির দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। কিন্তু মেঘ-কুয়াশামুক্ত আকাশের উত্তর-পশ্চিমে তাকালেই দেখা মেলে বরফ আচ্ছাদিত সাদা পাহাড় কাঞ্চনজঙ্ঘা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।