সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই সিরাজগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন জনপদ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে। এর আগে ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১১ দিন শৈতপ্রবাহের পর ১ জানুয়ারি থেকে তা কমতে থাকে।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, রোববার (৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তা দাঁড়িয়েছে ১১ ডিগ্রিতে। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্র আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহে মৃদ কিংবা মাঝারি শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা বলা হলেও চরের মানুষগুলোর কাছে তা পৌঁছেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় শীতের পোশাক গায়ে জড়িয়ে নিজ নিজ রিকশায় বসে ছিলেন গহের আলী, আব্দুল মজিদ, আজিজল ও আল-আমিনসহ ১০/১২ জন রিকশাচালক। তারা বলেন, রিকশা নিয়ে বসে থাকলেও যাত্রীর সংকট। শহরে লোকজনের আনাগোনা কম। এ কারণে বসে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।
যমুনার চরাঞ্চল অধ্যুষিত কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভূঁইয়া বলেন, প্রচণ্ড শীতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। হতদরিদ্র নদীভাঙন কবলিত মানুষগুলোর শীতবস্ত্রের অভাব রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, শীতে বিপর্যস্ত হতদরিদ্র মানুষগুলোর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার ৯ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। কম্বল বরাদ্দ হলে আবারও বিতরণ শুরু করা হবে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে ও ব্যক্তি উদ্যোগেও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
আরএ