চলতি মাসেই সেখানকার তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে বিগত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না মেলায় বাড়ছে তীব্র শীতের প্রকোপ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা নামতে শুরু করায় চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্নবিত্ত মানুষেরা। সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চলমান থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন ও ধরলা অববাহিকার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। একটি শীতবস্ত্রের জন্য অসহায়-দরিদ্র মানুষগুলো প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে ভিড় করছে।
এসময় বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান করায় কুড়িগ্রাম অঞ্চলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার জেলার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নেমেছে। জানুয়ারিতে প্রথম দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যা আরও ৩-৪ দিন অব্যাহত থাকবে। এমাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ আসবে।
সব মিলিয়ে তামমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফইএস/এসএ