এদিকে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা অনেক বেড়েছে। মধ্যরাতেও ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত রাতে জেলার সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে শীতজনিত রোগে (শ্বাসকষ্ট) অসুস্থ হয়ে তৈয়ব আলী নামে (৭০) এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তার বাড়ি চিরিরবন্দর উপজেলার বড় হাসিমপুর গ্রামে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে তিন শতাধিক রোগী সেবা নিচ্ছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ শিশু ভর্তি হচ্ছে। শীত কিছুটা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বেশি বিপাকে পড়েছেন খেছে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে কাজে নামতে হচ্ছে এসব ছিন্নমূল মানুষকে।
এদিকে তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বীজতলা ও আলু নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন নীলফামারী জেলার কৃষকরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এ হায়াত জানান, শীতার্ত মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও দুই হাজার কম্বল আসছে। যা দুই-এক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
আরএ