মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মোকাম বাজার এলাকার জাতীয় যুব প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পাশে ঘোমরা এলাকায় এ মৃত মাঝারি আকারের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ দুটোর অবস্থান। একটি গাছ থেকে অপর গাছটি বেশি দূরে নয়; প্রায় কাছাকাছি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশমুখে গত ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল ঠিক এমন আকৃতির মৃত একটি গাছ সিএনজি অটোরিকশার ওপর হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এতে কেয়া পাল (২০) এবং শম্পা দেব (২২) নামে দুই সিএনজি যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
এ দুটো গাছ সম্পর্কে ঘোমরা এলাকার মো. সোনা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গাছ দুটো খুবই বিপজ্জনক। যেকোনো সময় সড়কে চলাচলরত পথচারী ও গাড়ির ওপর পড়তে পারে। ফলে মারাত্মক জখমের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পাকা সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন।
ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় সড়কের পাশে এভাবে বেঁকে দাঁড়িয়ে থাকলেও কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এই রাস্তায় উন্নয়নের কাজ করার সময় আমরা এলাকাবাসীর পক্ষকে এ বিপজ্জনক গাছ দুটো কাটার জন্য সড়ক বিভাগকে বলেছিলাম, কিন্তু কে শোনে কার কথা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ), মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আসলে আমার জানা ছিলো না। যদি গাছ দুটো শুকনো হয়ে থাকে তাহলে আমরা দ্রুতই অপসারণ করে ফেলবো।
সরকারিভাবে কোনো গাছ কাটতে গেলে তা সময় সাপেক্ষ এবং সরকারি কয়েকটি বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই কাটতে হয়; তাই এক্ষেত্রে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
বিবিবি/এএটি