বিভিন্ন এলাকায় এখন শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। সেই মুকুলের পরিমাণ কম হলেও এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে।
খুলনা মহানগরীর নুরনগর সড়কের পাশে, মিয়া পাড়ার মোড়ে, নিরালা, বসুপাড়া, করোনেশন স্কুলের সামনে, বিকে রায় রোড, ফুলতলা, পাইওনিয়র স্কুলের পাশে, রূপসার নৈহাটী, রাজাপুর, অনুরূপভাবে পাইকগাছা ও ডুমুরিয়ার বিভিন্ন এলাকার আম গাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। এসব আমের মুকুলে এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতে স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী মুকুল। আমগাছের মালিকরা বলেন, আগাম মুকুল দেখা পাওয়ায় মনটা ভালোই লাগছে। তবে এ মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা দেখা দিলে আমের মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। তারা বলেন, প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।
নগরীর নূর নগর এলাকার বাসিন্দা মামুন হোসেন বুধবার (২২ জানুয়ারি) বলেন, আম গাছে আগাম মুকুল দেখে ভালো লাগছে বেশ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করছে।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কৃষিবিদ মো. ফরিদুজ্জান বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছু এলাকার গাছে গাছে ফুটছে ফুল, আগাম মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট আম। আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পেয়েছে সেজন্য আগাম মুকুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের গাছে আগাম মুকুল আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এমআরএম/এএটি