শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, চারদিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। রোববার (১ মার্চ) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরো বলেন, এটা একেবারেই শেষ মুহূর্তের শীত। কয়েকটা দিন এরকমই হবে। সারাদিন রোদ থাকবে এবং আর রাতে থাকবে ঠাণ্ডা। সাগরের উপরিতলের পানি আস্তে আস্তে উত্তপ্ত হওয়ায় বাতাসটা হালকা হয়ে জলীয়বাষ্প নিয়ে ওপরে উঠবে। এভাবেই আকাশে মেঘ জমবে এবং জমতে জমমে ভারী হয়ে ফের ভূপৃষ্ঠে ঝরবে বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে। চলতি মাসেই বৃষ্টিপাতাতে মধ্য দিয়ে বজ্রপাতসহ কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখছি যে এখন প্রতিদিনই প্রেসার (চাপ) কমে যাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা বাড়লেই কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি হয়। এখন দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়ার ফলে সাগরের উপরের পানি গরম হয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে। বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে প্রায় ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আর রাত ১২টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠ শীতল হতে থাকবে। আকাশ খুব পরিষ্কার এখন; কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন যে মেঘ জমে যাবে আকাশে। প্রচুর বাষ্পীভবন হচ্ছে এখন। বায়ুমণ্ডলে বাতাস থাকার কারণে এখন কুয়াশাটা আর জমতে পারে না। বাতাস না থাকলে কিন্তু রাত থেকেই অনেক কুয়াশা হতো। জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেট-এর জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সাঈদ আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শিগগিরই বৃষ্টি আসছে পুরো দেশজুড়ে। সিলেটেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। বিশেষ করে ৩ মার্চ থেকে এ বৃষ্টি থেমে থেমে শুরু হয়ে চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টিপাত হয়নি তেমন একটা। এর প্রভাব মার্চ মাসেও পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
বিবিবি/এএ