আবহাওয়া অফিস বলছে, দু'এক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কিছুটা কমে আসবে।
রোববার (৫ জুলাই) আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ জানান, ঘাম না শুকালে একই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে গরম বেশি অনুভূত হয়। বাতাস আছে কিন্তু আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বর্তমানে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিনে বৃষ্টিপাত বাড়বে। তখন এটা কেটে যাবে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়। আর উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
ফলে সোমবার নাগাদ রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রা সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
রাজধানীতে শনিবার রাতেও প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়েছে। রোববার সকাল থেকে খেলা করছে রোদ-বৃষ্টি। তাপপমাত্রাও আগের দিনের থেকে কমেছে কিছুটা। তবে বেড়েছে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ। রাজধানীতে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে ৯৭ শতাংশ। ফলে গরম অনুভূতি কমেনি।
বর্তমানে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার নাগাদ দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও বৃষ্টিপাত বাড়বে। সে সময় সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হলে কমবে তাপমাত্রা ও গরম অনভূতি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা নাগাদ দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
ইইউডি/এএ