ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

উন্নতির দিকে বন্যা পরিস্থিতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২০
উন্নতির দিকে বন্যা পরিস্থিতি

ঢাকা: বৃষ্টিপাত কমায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে এ অবস্থার আরও উন্নতি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যাপ্রবণ সব প্রধান প্রধান নদ-নদীরগুলোর পানি কমছে।

তাই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

রোববার (৫ জুলাই) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মাে. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর কমে আসবে। মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুরোর পানির সমতলও হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে।

এ অবস্থায় সোমবারের (৬ জুলাই) মধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি পারে। অপরদিকে রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নতুন বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বন্যার পানি কমে যেতে থাকলেই নদীর তীর ভাঙতে শুরু করে।

এর মধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন অববাহিকায়। তিস্তার কবলে লালমনিরহাট, ধরলায় কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ভাঙছে মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুরসহ গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা।

পাউবো বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১ টি স্টেশনের মধ্যে পানি বেড়েছে ৪৯টি পয়েন্টে, কমেছে ৪৯টি পয়েন্টে। আর অপরিবর্তিত আছে ৩টি পয়েন্টের পানি। এছাড়া বিপদসীমার উপর দিয়েছে প্রবাহিত হচ্ছে বিভিন্ন নদ-নদীর ১৬ টি পয়েন্টের পানি।

বর্তমানে ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার (সেমি) উপর দিয়ে, ঘাঘটের পানি গাইবান্ধায় ৮ সেমি উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়াতে ২ সেমি উপর দিয়ে, চিলমারীতে ১১ সেমি উপর দিয়ে, যমুনার পানি ফুলছড়িতে ৪১ সেমি উপর দিয়ে, বাহাদুরাবাদে ৪২ সেমি উপর দিয়ে, সারিয়াকান্দিতে ৩৯ সেমি উপর দিয়ে, কাজীপুরে ৪২ সেমি উপর দিয়ে, সিরাজগঞ্জে ২৩ সেমি উপর দিয়ে ও আরিচায় ১ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া আত্রাইয়ের পানি বাঘাবাড়িতে বিপদসীমার ৪৩ সেমি উপর দিয়ে, পদ্মার পানি গোয়ালন্দে ৪২ সেমি উপর দিয়ে, ভাগ্যকূলে ২৭ সেমি উপর দিয়ে, মাওয়ায় ১৬ সেমি উপর দিয়ে, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিনে ৪২ সেমি উপর দিয়ে এবং মেঘনার পানি চাঁদপুরে বিপদসীমার ১৭ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ০৫, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।