ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কেমিক্যালযুক্ত দূষিত পানি থেকে বাঁচতে চান আশুলিয়াবাসী 

সাভার করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
কেমিক্যালযুক্ত দূষিত পানি থেকে বাঁচতে চান আশুলিয়াবাসী 

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ার একটি এলাকায় পোশাক কারখানার কেমিক্যালযুক্ত দূষিত পানি থেকে বাঁচতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনগণ।  

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের অন্বেষাগলির পানিবন্দি পাঁচ শতাধিক ভুক্তভোগী এ দাবি জানান।

 

মানববন্ধনে তারা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে নিশ্চিন্তপুরের অন্বেষাগলি এলাকায় কারখানার দূষিত পানিতে রাস্তা ঘাট, ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। কিন্তু স্থানীয় মেম্বার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক এ দূষিত পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি সড়ক দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু প্রভাবশালী কসুমদ্দিন ওরফে কেছু নামের এক ব্যক্তি সেই ড্রেনের কাজ বন্ধ করে দেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।  

ভুক্তোভোগীদের একজন ইয়াসিন মোল্লা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ এলাকায় প্রায় এক হাজার মানুষের বসবাস। দূষিত পানির কারণে আমরা যে কষ্ট পোহাচ্ছি, তা ভাতের কষ্টের চেয়েও অনেক বেশি। আজ তিনটা মাস ধরে এ অবস্থা। পানিতে রাস্তা ডুবে গেছে। অনেকের ঘরের মধ্যেও পানি উঠেছে। শুধু পানি হলে তো কথা ছিলো না, কিন্তু পানির সঙ্গে কারখানার কেমিক্যালযুক্ত দূষিত বর্জ্যও আসে। যা অনেক দুর্গন্ধ ছড়ায়। আমরা ঘরে বসে ভাত খেতে পারি না। এ পানির করণে নানা রোগব্যাধিও হচ্ছে আমাদের।  

আরেক ভুক্তোভোগী বাড়িওয়ালা বিউটি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এলাকা তিন মাস আগেও ভালো ছিল। কিন্তু দু’টি পোশাক কারখানা তাদের পানি আমাদের এলাকার মুখে ছেড়ে দেয়। ফলে আমাদের এলাকা এখন দূষিত পানিতে ভরে গেছে। এ পানি থেকে বাঁচতে আমাদের সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক মণ্ডল একটা ড্রেন করতে শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তি এ কাজে বাধা দিয়েছেন। আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই।  

এদিকে বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ের ৬ নং ওয়ার্ডের অন্বেষাগলি এলকায় বসবাসরত প্রায় এক হাজার মানুষ দূষিত পানিতে বন্দি হয়ে আছে। সে কারণে আব্দুল মালেক মণ্ডল মালু নিজ উদ্যোগে ৩০০ ফুট দৈর্ঘের একটি ড্রেন নির্মাণ করছিরেন। এছাড়া চারটি সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু একটি মহল এ ড্রেন নির্মাণ করতে দিচ্ছে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
এসআই
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।