ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ৭ দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ৭ দিন ...

ঢাকা: নদ-নদীর পানি স্থিতিশীলভাবে বাড়ায় দেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও সাতদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আর একই সময়ে উত্তরাঞ্চলে আরও অবনতি হতে পারে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী সাতদিনে নতুন করে প্লাবিত হতে পারে জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার নিম্নাঞ্চল।

আর আগামী ১০ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। টাঙ্গাইল জেলার এলাসিনঘাট স্টেশনে এবং মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা স্টেশনে পানির সমতল আগামী সাতদিন স্থিতিশীলভাবে বাড়তে পারে। ফলে এসব জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি আগামী সাতদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৯ আগস্ট নাগাদ জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ স্টেশন, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি স্টেশন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ স্টেশনে পানির সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। গঙ্গা- পদ্মা নদীর পানির সমতল আগামী পাঁচদিন স্থিতিশীল থেকে তারপর ফের বাড়তে পারে।

এছাড়া রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্ট ও শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টের পানির সমতলও আগামী সাতদিন স্থিতিশীলভাবে বাড়তে পারে। ফলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আর মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূল এবং মাওয়া পয়েন্টে পানি সমতল ২৯ আগস্ট নাগাদ বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। বাড়তে পারে ঢাকার আশেপাশের নদ-নদীর পানিও। তবে বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা বাড়তে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরিয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। শুক্রবারের (২৭ আগস্ট) মধ্যে যমুনা নদীর পানির সমতল সিরাজগঞ্জ ও মথুরা পয়েন্টে, তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে এবং ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এর ফলে ওই সময়ে এই অঞ্চলের পূর্ণভবা, কুলিখ, ট্যাঙ্গন, আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র এবং আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীতে পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।

পাউবো জানিয়েছে বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে বুধবার (২ আগস্ট) পানির সমতল বেড়েছে ৬৬টি স্টেশনে, কমেছে ৩৯টিতে। আর অপরিবর্তিত আছে চারটি স্টেশনের পানির সমতল।

বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ছয়টি নদীর পানি। এরমধ্যে যমুনা নদীর পানি আরিচা স্টেশনে, আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়িতে, পদ্মার পানি গোয়ালন্দে ও সুরেশ্বরে, মেঘনার পানি চাঁদপুরে, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিনে ও গড়াই নদীর পানি কামারখালীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
ইইউডি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।