ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণের আভাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণের আভাস

ঢাকা: উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ এবং মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তায় বৃষ্টিপাত বাড়ছে। ঢাকাসহ চার বিভাগে রয়েছে ভারী বর্ষণে আভাস।

এছাড়া উপকূলে ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কা সমুদ্রবন্দরে তোলা হয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত। আর নদী ও বন্দরে রয়েছে এক নম্বর সংকেত।  

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিম এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বর্তমান অবস্থায় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার ওঠে যেতে পারে।

 

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নাগাদ আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে।

এদিকে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টা ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাড়াশে, ৩০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ৩৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে দুই মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।