ঢাকা: আগামী দু’দিনে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে যাবে।
মধ্য আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি আরও অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এরপর এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৪ ডিসেম্বর উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ভারতের সাইক্লোন সেন্টার- রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটিওরোলোজিক্যাল সেন্টার ফর ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস ওভার নর্থ ইন্ডিয়ান ওশেন (আরএসএমসি)। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম জোয়াদ (JOWAD), এটি সৌদি আরবের দেওয়া নাম।
আরএসএমসির আবহাওয়া বিজ্ঞানী সুনিথা দেবী জানিয়েছেন, ৩ ডিসেম্বর ওড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশে ভারীবর্ষণ হবে। পরেরদিন এ প্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হবে। আর ৫ ডিসেম্বর ওড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরায় ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হবে। এ সময় সাগর থাকবে অতি বিক্ষুদ্ধ।
ভারতের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য দিলেও বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা শঙ্কার কিছু দেখছেন না। কেন না, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেও তার যে সম্ভাব্য গতিপথ হতে পারে, তা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে নয়। বরং তা বেশ দূর দিয়েই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা বাড়বে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তি থাকবে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) নাগাদ উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। আর আগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে এবং তা বিস্তার ঘটবে।
এদিকে একদিনের ব্যবধানে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস