ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

উপকূলের মানুষের কাছাকাছি ‘বাংলানিউজ’!

রফিকুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪
উপকূলের মানুষের কাছাকাছি ‘বাংলানিউজ’! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে গেলো। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলানিউজে বিশেষ আয়োজন হিসেবে শুরু হওয়া ‘উপকূল থেকে উপকূল’ বিভাগ এবার পা রাখছে দ্বিতীয় বছরে।

এই এক বছর ধরে উপকূলের ৭১০ কিলোমিটার তটরেখা বেষ্টিত অঞ্চলে সরেজমিন ঘুরে পিছিয়ে থাকা জনপদের খবরাখবর তুলে আনছেন বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট রফিকুল ইসলাম। এই এক বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার তিনি লিখেছেন তিন পর্বের সিরিজ প্রতিবেদন। দ্বিতীয় পর্বে পড়ুন ‘উপকূলের মানুষের কাছাকাছি বাংলানিউজ’।  
উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদ ঘুরে এসে: দুর্যোগের সিগন্যাল ঘোষণা হলে সবার চোখ যায় মোবাইলে। বাটন টিপে জেনে নেয় সর্বশেষ তথ্য। রাষ্ট্রের উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর কিংবা বহি:বিশ্বের খবর জানতেও একই কৌশল সবার। খবরের কাগজ যেতে অনেক দেরি, আদৌ দৈনিক কাগজটি পৌঁছাতে পারবে কীনা, তা নিয়েও থাকে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় মোবাইলের খবরই ভরসা হয়ে দাঁড়ায় সবার।

এভাবেই দেশের সর্বদক্ষিণে জেগে থাকা সমুদ্র তীরবর্তী বিচ্ছিন্ন উপকূলকে কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে অনলাইন নিউজপোর্টাল। খবর দেখতে অনলাইন নিউজপোর্টালের ওপর ভরসার কথাগুলোই জানাচ্ছিলেন উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদের বিপন্ন মানুষ। আর এজন্য তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

অনলাইন নিউজপোর্টালের নিয়মিত পাঠকদের অনেকেই জানান, বহু আগে থেকে তারা বাংলানিউজ থেকে বিভিন্ন খবরাখবর জানতে পারছেন। পোর্টালটির একজন প্রতিবেদককে কাছে পেয়ে তাই পাঠক এলাকার কিছু নতুন খবর জানাতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এলাকার বিভিন্ন খবর বিস্তারিতভাবে দেখতে পেয়ে তারা অনেকটা আশস্ত হন। কেউ কেউ বলেন, সমস্যার সমাধান হোক বা না হোক, খবরটা অন্তত কর্তৃপক্ষের নজরে গেছে। প্রকাশিত এই খবরের পথ ধরে তাদের সমস্যা কাটবে।  

খবরের কাগজ নেই, অনলাইনই ভরসা ...
উপকূলের বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকায় খবরের কাগজ পাওয়া ভাগ্য নির্ভর, তাই তথ্য আদান-প্রদানে একমাত্র ভরসা অনলাইন সংবাদমাধ্যম। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ফসলের ক্ষেতে কর্মরত চাষি পর্যন্ত অনলাইনেই জেনে নেন সর্বশেষ সংবাদ। নিত্যকার হাজার কাজের ভিঁড়ে হাতে হাতে তাই দেখা যায় মোবাইল ইন্টারনেট।

দেশের সর্বদক্ষিণে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীর চিত্রটা এমনই। রাজধানী ঢাকা থেকে নদীপথে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার দূরত্বের এই এলাকার মানুষের খবরের কাগজ দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। বরিশাল হয়ে এখানে কিছু জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র এলেও তা নিয়মিত নয়। ফলে পাঠক সংবাদপত্রের ওপর ভরসা রাখতে পারেন না। তাই বলে এখানকার মানুষ তথ্য শূন্যতায় থাকে না। মোবাইল ইন্টারনেটের সুবাদে সাগরপাড়ের গ্রামের মানুষের কাছেও ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে।

কৃষি খামারে চাষির চোখ বাংলানিউজে ...
চাষাবাদের ফাঁকে শেষ খবরটা জানতে ইচ্ছা করলে মোবাইলে বাটন টিপে অনলাইনে চোখ বুলিয়ে নেন চরফ্যাসনের কুকরী মুকরীর চাষি আবদুর রহমান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, খবর জানতে অনলাইন দেখি। বাংলানিউজ সবার খবর পৌঁছায় আমাদের কাছে। বাজেটে চাষির ভাগ্যে কী জুটেছে, ঝড়ের গতিবেগ কোনদিকে ধাবিত হচ্ছে, এমনসব তথ্য এই চাষির হাতের মুঠোয়।

আবদুর রহমানের মত আরও বহু চাষি-জেলের দেখা মেলে উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদে, যারা অনলাইনে ভরসা রাখেন। নিজের মোবাইল থেকে অনলাইনে ঢুকে শেষ খবরটা জেনে নেন। এসব মানুষ বলছিলেন, তথ্য তাদের জীবন আরও খানিক সাচ্ছন্দ্য করে তুলেছে।   

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গন্ডদুলা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন আকন বাংলানিউজকে বলছিলেন, এই প্রত্যন্ত গ্রামেও সারাবিশ্বের খবর পৌঁছে যায় মুহূর্তের মধ্যে। মাঠে চাষিরাও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অনেক সময় তাদের কাছ থেকেও শেষ খবরটা পাই। এই গ্রামে খবরের কাগজ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কখনো বাসি খবর পাওয়া যায়। মোবাইল ইন্টারনেটে অনেকেই আবার বাংলানিউজকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়।        

চায়ের দোকানে পাঠকের দৃষ্টি ...
চায়ের দোকানে মোবাইলে বাংলানিউজ খুলে পড়ছিলেন একজন। পাশে ভিড় আরও কয়েকজনের। তাদের দেখাদেখি এসে ভিড় জমালেন আরও কয়েকজন। একজনে খবর পড়ছেন, আর অন্যরা শুনছেন। এই দৃশ্যটা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর বাহেরচরের।  

সরেজমিনে গিয়ে বাহেরচর বাজারে কান পাতলেই অনলাইনের খবর শোনা যায়। চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্টে নানামুখী সংবাদ নিয়ে আলোচনার ঝড়। আলোচনায় থাকেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে বাচ্চু সিকদারের চায়ের দোকানে বেশ কয়েকজন চাষি-জেলে-মজুরের আড্ডা হচ্ছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ। আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে বাংলানিউজের প্রসঙ্গ। তাদের অভিমত, বাংলানিউজ সংবাদ দিচ্ছে সবার আগে।  

রাতজাগা চোখ বাংলানিউজের খবরে...
রাজধানী থেকে বহু দূরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মেঘনা পাড়ের চরফলকন। এখানে রাত জেগে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ শেষ খবরের অপেক্ষা করেন। গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মানুষটি থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর পর্যন্ত সবার আগ্রহ তথ্য জানার। রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কোনদিকে, অর্থনীতির হালচাল কী, প্রধান দুই নেত্রী সর্বশেষ কী বললেন, নির্বাচনের পথে এখনও কী কী বাধা আছে--সব খবর চাই তাদের।
কমলনগরের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ জানালেন, সৌর বিদ্যুৎ আর ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে যাওয়ায় গ্রামের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব চাহিদার সঙ্গে তথ্য জানার অধিকারকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এজন্য ইন্টারনেটে পাওয়া অন্যান্য জাতীয় সংবাদ-মাধ্যমের মধ্যে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম গ্রামের পাঠকদের সর্বাধিক পছন্দের। তাইতো চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের বড় পর্দায় ভেসে ওঠা বাংলানিউজের দিকে দৃষ্টি সবার।

একাগ্রচিত্ত পাঠক ছড়িয়ে সর্বত্র...
একাগ্রচিত্তে বাংলানিউজ অনুসরণকারী সব পাঠকের খোঁজ রাখা হয় না। উপকূলের প্রত্যন্ত জনপদে রয়েছেন বহু পাঠক, বাংলানিউজই যাদেরকে পথ দেখায়। বিপদে-আপদে থাকে বন্ধুর ছায়া হয়ে। এমন অনেক পাঠকের মধ্যে একজন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এন এম আশরাফ উদ্দিন।

এই তরুণ চেয়ারম্যান বিভিন্ন সংবাদ জানার পাশাপাশি বাংলানিউজের ‘উপকূল থেকে উপকূল’ বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনের শিরোনামটি বলে দিতে পারছেন। চেয়ারম্যান আবার ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে বসে সংবাদ পড়ে শোনান পাঠকদের। কোন এক আশ্বিনের দুপুরে সেই দৃশ্যই চোখে পড়লো। সংবাদ পাঠের সময় আশপাশে ভিড় জমালো অনেকজন। স্কুলের ছাত্র, চাকরিজীবীসহ গ্রামের শ্রমজীবী মানুষজন শুনছিলেন সে খবর।

বড়পর্দায় বাংলানিউজ...
ল্যাপটপের পর্দায় একসঙ্গে অনেকজনের সংবাদ দেখতে অসুবিধা, তাই প্রোজেক্টরের সংযোগে বড় পর্দায় ভেসে উঠলো বাংলানিউজ। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায়। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ফলকন ইউনিয়সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে বড় পর্দায় বাংলানিউজ পড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। উদ্যোক্তারা জানালেন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের ছোট পর্দায় সংবাদ পড়তে সমস্যা হয় বলে বড়পর্দায় সংবাদ দেখার এই আয়োজন।

সন্দ্বীপ উপজেলার আইটি-বান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্বসন্দ্বীপ বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেলো ক্লাসের ফাঁকে বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা বড় পর্দায় বাংলানিউজ পড়ছে। শিক্ষার্থীরা জানালেন, তথ্য পাওয়ার এই সুবিধা তাদের জীবনকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। নতুন কিছু ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে।    

কমলনগরের চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এন এম আশরাফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ইন্টারনেটের কল্যাণে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সার্বক্ষণিকই সংযুক্ত থাকছে প্রত্যন্তের এই চরফলকন। সব খবরাখবর জানতে পেরে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। বদলে গেছে তাদের জীবনধারা। বড়পর্দায় সংবাদ দেখে তারা সহজে বুঝতে পারছে।

প্রত্যন্ত জনপদ সংযুক্ত হচ্ছে কেন্দ্রে...
স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে বহু দূরের এই এলাকাগুলো সব দিক থেকে পিছিয়ে আছে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এখানকার সাধারণ মানুষের কোন যোগাযোগ ছিল না। তথ্য-শূন্যতায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে নেমে আসতো চরম দুর্ভোগ। দুর্যোগের সিগন্যাল তাদের কাছে পৌঁছাতো না। ফলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যেত। কিন্তু ইন্টারনেট সুবিধা সে অবস্থায় পরিবর্তন এনেছে। বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের মাঝে বেড়েছে সচেতনতা। প্রত্যন্ত জনপদ সংযুক্ত হচ্ছে কেন্দ্রে।

কুতুবদিয়ার তাবালর চরের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক সময় আমরা অন্ধকারে ছিলাম। ঢাকায় কী হচ্ছে কিছুই জানতে পারতাম না। এখন জানতে পারি। রাজনৈতিক উত্তাপ কিংবা অন্য কোন কারণে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া খবরই এখন ভরসা। সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া খবর আমাদের ভাবতে সাহায্য করছে, সিদ্ধান্ত নিতে সুযোগ করে দিচ্ছে।

এলাকার খবর দেখার আগ্রহ...
উপকূলের বিভিন্ন এলাকার পাঠকরা এমনটাই বলছিলেন। অনলাইনে নিজের এলাকার খবরটা দেখতেই তারা বেশি পছন্দ করেন। এলাকার কোন একটা খবর অবলাইনে দেখতে পেলে এলাকার পাঠকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা হয়। তারা অপেক্ষা করেন এলাকার আরও একটি খবর দেখার জন্য। এরই প্রমাণ মিলেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে। বেশকিছু সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যদিয়ে দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে দেশের শীর্ষস্থানীয় নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ।

পাঠকদের আড্ডায় কান পেতে শোনা গেলো, কেউ মোবাইলে দেখে আলোচনা করছে, কেউবা দেখছে কম্পিউটারে। আবার কেউ কেউ শহর থেকে কারও টেলিফোন বার্তায় বাংলানিউজে এলাকার খবর আছে জানতে পেরে পোর্টালটিতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। নিজের এলাকার সংবাদ নিয়মিত দেখার জন্য অনেক নতুন পাঠক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর অ্যাড্রেস সেভ করেও নিলেন নিজের মোবাইলে।        

মোবাইল ইন্টারনেটে সংবাদ পাঠক নিয়াজ আহমেদ বলেন, এই বিচ্ছিন্ন জনপদে সংবাদপত্র নিয়মিত পাওয়া যায় না। কিন্তু ইন্টারনেটের সুবাদে অনলাইন এখন আমাদের হাতের কাছে। বাংলানিউজসহ অন্যান্য সংবাদ সাইট থেকে আমরা খবর পাই। এসব খবর জনমত গঠনে বিশেষ সহায়ক হচ্ছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে। এরফলে পিছিয়ে পড়া এই জনপদ সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিদ্যুতের অভাব, ইন্টারনেটের ধীরগতি, বড় বাধা...
উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদের পাঠকরা জানালেন, বিদ্যুতের অভাব আর ইন্টারনেটের ধীরগতি অনলাইনে সংবাদ পাঠে সবচেয়ে বড় বাধা। সৌরবিদ্যুতে কম্পিউটার চালাতে হলে আইপিএস লাগাতে হয়। সে সামর্থ্য অনেকের নেই। অনেকে জেনারেটরের সাহায্যে চার্জ নিয়ে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ চালু রাখেন। সেটা অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে ইন্টাররেটেও রয়েছে ধীরগতি। এটা উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদে অনলাইন প্রসারে বড় বাধা বলে স্থানীয়দের অভিমত।

তবুও এলাকার মানুষের আশাবাদ। হয়তো রাস্তাঘাট হতে অনেক সময় লাগবে। বহু বছর চলাচল করতে হবে নৌপথে। উপকূলীয় জনপদ বিচ্ছিন্ন থাকবে যুগের পর যুগ। কিন্তু অনলাইন সংবাদ তাদেরকে রাখবে কেন্দ্রের খুব কাছাকাছি।

শনিবার শেষ পর্বে পড়ুন ‘রিপোর্টারের ডায়রি: খবরের খোঁজে প্রতিনিয়ত প্রতিকূলে’।    

বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।