ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

ভোলায় ফণী মোকাবিলায় মাঠে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
ভোলায় ফণী মোকাবিলায় মাঠে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: ঘূর্নিজড় ফণী মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা ভোলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝড়টি মোকাবিলায় জেলার সাত উপজেলায় মাঠে রয়েছে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। যাদের মধ্যে সিপিপির ১০ হাজার ২০০ ও রেডক্রিসেন্টের দেড় হাজার। এসব কর্মীরা দুর্গম এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার লক্ষে কাজ করছেন। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও কাজ করছে।

এদিকে শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরের মধ্য ভোলা উপকূলের ৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শোষে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জেলার সাত উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ৬৫৭টি। যার মধ্যে ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৫ লাখ। আমরা আশা করছি ৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পারবো।

জেলা প্রসাসক বলেন, জেলার বিভিন্ন দুর্গম দ্বীপ চরের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। যাদের আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান হবে না তাদের মূল ভূখন্ডে নিয়ে আসা হবে। ৭টিসহ মোট আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতিঃ সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮ টি কন্ট্রোল রুম। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল। ৯২ টি মেডিকেল টিম গঠন। প্রতিবন্দীদের জন্য ৮০ সদস্যের আলাদা টিম গঠন। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাঠে কাজ করছে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।

ভোলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন জানান, ঝড় মোকাবিলায় মাঠে রয়েছে ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী। তারা উপকূলীয় এলাকায় প্রচার প্রচারণা এবং উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছে।

ভোলা রেডক্রিসেন্ট যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু জানান, রেডক্রিসেন্টের দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে ভোলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মাহবুব ররহমান বলেন, ঘূর্নিঝড়টি চট্টগাম থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সনবাজার থেকে ৮৮৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা বন্দর থেকে ৭৩৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম ও পায়রা বন্দর থেকে ৭৬০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিম কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব থাকলেও বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা ছিলো ৩৪. ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। এতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।