ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

তিনদিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভোলার ক্ষতিগ্রস্তরা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
তিনদিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভোলার ক্ষতিগ্রস্তরা

ভোলা: ভোলায় তিনদিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। ঝড়ের একদিন আগেও সব ঠিকঠাক সাজানো গোছানো ছিলো। স্বাভাবিকভাবে চলছিলো সবকিছু। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়।  ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া লালমোহন ও চরফ্যাশনসহ জেলার ১০ ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলার লালমোহন ও চরফ্যাশন ‍উপজেলা ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

দেখা যায়, এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। অনেকের ঘরে চুলা জ্বলেনি। এখনও নতুন করে ঘরনির্মাণ করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই। তবে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, টিন ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তা তুলনায় খুবই কম বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ক্ষতিগ্রস্তরা বাংলানিউজকে জানান, এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণের টিন ও শুকনো খাবার বিতরণ হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। একেকটি পরিবারের গড়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকার ওপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়েছে। অনেকের ফসলের ক্ষেত নষ্ট ও মাছের ঘের হারিয়ে নিস্ব হয়েছেন।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি বাংলানিউজকে জানান, ৫৪ পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল, নগদ ৬ হাজার টাকা এবং দুই বান্ডেল করে টিন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, চরফ্যাশনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা বিতরণ করেছেন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ১৬০ পরিবারকে নগদ ৬ হাজার করে টাকা, দুই বান্ডেল করে টিন এবং শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে নিহত হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া ১০ কোটি টাকার মাছ এবং ৫৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।