ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ প্রাণেরা প্রত্যেক বছর তাদের প্রিয় প্রাঙ্গণকে প্রকৃতির রঙে সাজিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেয়। বাঙালির উৎসব মানেই মিষ্টান্ন ভোজ অপরিহার্য।

তাই এ উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে এ বছরও ১৫ ফেব্রুয়ারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব ‘পিঠা উৎসব’ আয়োজন করেছিল।  

উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। যেখানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাব কর্তৃক পিঠার স্টল দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও যোগ দেন এ পিঠা উৎসবে।  উৎসবটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলাম।   

বাঙালির পিঠা-পুলি তৈরি, সবাই আয়োজন করে তা উপভোগ করার এ ঐতিহ্য বহু বছর পুরোনো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজের হাতে তৈরি পিঠার প্রদর্শন করে উৎসবের আমেজে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। গুড়, নারকেলের ভাপা পিঠার মিষ্টি স্বাদ কিংবা হরেক রকমের ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার পরিবেশন, দক্ষ হাতের নকশী পিঠা আর রসে ডুবানো পুলি পিঠা, ভিন্ন স্বাদের ডিম পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি পিঠা।  

এছাড়া আরও নানা স্বাদের ও রঙের পিঠার সমাহার দেখা যায় পিঠার স্টলগুলোতে। স্টলের সজ্জায়ও ছিল এবার ভিন্নতা। রঙিন কাগজ, রঙ-তুলিতে বাংলার গ্রাম্য সংস্কৃতির অঙ্কন, নকশা করা ঘুড়ি, কুলা, হাতপাখা ইত্যাদি ঐতিহ্যবহ সব কিছুর সমাহার পিঠা উৎসবকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়।   

পিঠা উৎসব নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি প্রতিনিয়ত লালনের মাধ্যমেই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এর গুরুত্বের বার্তা পৌঁছাবে। আর এ বিশেষ উৎসবটি বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যে সম্পর্ক তা তুলে ধরে এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পার্বণ বাঙালির রুচি ও স্বাদের বাহার সবার কাছে উপস্থাপন করে।  

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি হাসিবুল হাসান বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব কর্তৃক ‘পিঠা উৎসব’ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেবল বাঙালি সংস্কৃতিই নয় বরং বাঙালির মধ্যকার যে পারস্পরিক সহমর্মিতাবোধ চিরকাল বিরাজমান, তারও দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।  

ঘরে তৈরি পিঠার এ পার্বণ বিলীন হতে বসা বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের শহুরে হৃদয়ে নতুনভাবে ভালোলাগা তৈরি করেছে। রঙিন সাজে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সবার উপস্থিতি পিঠা উৎসবকে করেছে প্রাণবন্ত। সবার আপ্রাণ চেষ্টায় বছরের এ রঙিন উৎসবটি সফল হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।