ঢাকা: ওয়ালটনের পণ্যসমূহের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তির ব্যবহার তুলে ধরছে ওয়ালটন হাইটেক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যের ধাপসমূহ প্রদর্শন চলছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বসুন্ধরাতে (আইসিসিবি) এ মেলার আয়োজন করে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পিএলসি।
মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল রহমান খান। মেলা চলবে তিনদিন।
কীভাবে প্রযুক্তি ওয়ালটনের উৎপাদিত পণ্যে সংযোজিত হয়েছে এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে - এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে মেলায়। মেলায় অন্যতম পণ্য হলো নতুন প্রযুক্তির বিগ ডিসপ্লে ফ্রিজ। এই ফ্রিজে ওয়াইফাইয়ের সংযোগ দিয়ে টেলিভিশনের সুবিধা রয়েছে। প্রয়োজনে রান্নাঘরে বসেই রান্না শিখতে পারবে। করতে পারবে খাওয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে খাওয়ার অর্ডার।
আইস অ্যান্ড ওয়াটার ডিসপেন্সার আরেকটি নতুন ফ্রিজ। ফ্রিজের দরজা না খুলেই বাইরে থেকে ফ্রিজে ঠান্ডা পানির নির্দেশ করতে পারবে এবং পানি সংগ্রহও করতে পারবে।
ফ্রিজ দুটিতে এর আগে সংযোজিত এআই প্রযুক্তির পাশাপাশি নতুন এসব ফিচার যুক্ত হবে। নতুন ফিচারের এই ফ্রিজ দুটি আগামী বছরের জুন-জুলাই মাসে বাজারে আনবে ওয়ালটন।
আকার ও ধরন ভেদে ফ্রিজটির দাম ৭৫ হাজার থেকে শুরু করে সবচেয়ে বড় ফ্রিজটির দাম হবে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা।
মেলাতে ফ্রিজের কম্প্রেসারের প্রদর্শন করছে ওয়ালটন। বিশ্বের নির্দিষ্ট কিছু দেশ কম্প্রেসার উৎপাদন করতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ওয়ালটনের কম্প্রেসারের বৈশিষ্ট্য হলো শব্দ ও ভাইব্রেশন কম। পরিবেশ দূষণ রোধে সহায়ক হবে এই কম্প্রেসার।
বাংলাদেশে উৎপাদন মডেলটি হচ্ছে এসিসি। ওয়ালটনের কম্প্রেসারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো কম ভোল্টেজে এটি চলবে।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (আরআই) মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এসিসি প্রযুক্তি নিয়ে আমরা বাংলাদেশে শুধু উৎপাদনই করছিই না, নিয়মিত গবেষণা করছি কীভাবে আরও উন্নত ও টেকসই করা যায়।
এদিকে, ওয়ালটন হোম প্রোডাক্ট বাজারে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে রুমে থাকা ওয়ালটনের সব ধরনের পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যা বাসায় যেকোনো স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা যাবে। আবার দেয়ালে টানানো ট্যাবের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, রুম হিটার ও লাইট চলবে।
অন্যান্য প্রোডাক্টের পাশাপাশি ওয়ালটন লজিস্টিক সেবা মেলাতে উপস্থাপন করা হয়। প্রথমে নেপালে ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিদেশি লজিস্টিক সেবা শুরু করে। এরপর পায় ৫০টি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন।
পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রথমে ওয়ালটনের নিজস্ব পণ্য রপ্তানি কাজে সেবা সীমাবদ্ধ রাখলেও এ সেবা এখন বাইরের প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এটিএম মহিবুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, পণ্য সেবার ক্ষেত্রে ওয়ালটন যেমন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আবার ওয়ালটন লজিস্টিক ও পণ্য আমদানি রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। যে কোনো পণ্য নিরাপদে ও সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করছি। এ কারণে আমাদের বাইরের পণ্য আমদানি রপ্তানিতে সেবা দিতে ডাক আসছে।
মেলা উদ্বোধনের সময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি এ ধরনের পণ্য আর বেশি বাংলাদেশে উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বলেন, এ ধরনের পণ্য যেমন দেশের মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে আবার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
জেডএ/এসএএইচ