ঢাকা: ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই শাফিয়া শামা নিজের টাকায় ব্যবসা শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে তিনি শুরু করেন এম এস শামা ও উড়ান নামে নিজস্ব দুটি ব্র্যান্ড।
ফ্যাশন জগতে সাফল্যের পর তিনি মনোযোগ দেন রপ্তানি খাতে। শাফিয়া বলেন, ২০১৩ সালে আমি সিদ্ধান্ত নেই নিজের তৈরি পাটজাত পণ্যের হাত ধরে বিশ্ববাজারে পা রাখবো, কেননা এটা যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনই লাভজনক। পাটজাত পণ্য নিয়ে করা কাজ আমাকে একটি পরিচয় তৈরি করে দিয়েছে।
ব্যবসা শুরু করার সময় পরিবারকে রাজি করানো শামার জন্য ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ তাদের ধারণা ছিল পাট দিয়ে শুধু বস্তাই বানানো যায়। সম্পূর্ণ নিজের করা ডিজাইন নিয়ে তিনি এবং তার টিম পাট দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের করপোরেট গিফট যেমন- ল্যাপটপ ব্যাগ, ফ্যাশন ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করতে কাজ করেন দিনরাত।
ব্যবসা করতে গিয়ে তাকে পদে পদে সংগ্রাম করতে হয়েছে। ব্যবসায়ী নারী হিসেবে প্রথমেই তাকে পরিবারের বাধা পার হতে হয়েছে। ব্যবসা করতে গিয়ে কাঁচামালের অভাব, বিনিয়োগের ঘাটতি, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টের সমস্যা ও নেটওয়ার্কিং দক্ষতার কমতি থাকায় তাকে আরও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।
দক্ষতার এ ঘাটতি পূরণের জন্য শাফিয়া ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রোজেক্ট, করপোরেট কানেক্টের ট্রেনিংয়ে অংশ নেন।
তিনি বলেন, ট্রেনিং থেকে যা যা শিখতে পেরেছি তার মধ্যে আছে কীভাবে অ্যাকাউন্ট সামলাতে হয়, কিংবা কীভাবে স্বল্প মেয়াদী থেকে শুরু করে মধ্যম মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে হয়। করপোরেট কানেক্টের ম্যাচমেকিং সেশনের কারণে আমি বেশ কিছু ক্রেতারও খোঁজ পাই, যা আমাকে ব্যবসা বাড়িয়ে তুলতে অনেক সাহায্য করেছে।
শাফিয়া বিশ্বাস করেন তার ব্র্যান্ডের ব্যতিক্রমধর্মী পণ্যই তার ব্যবসাকে মূলত সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। একইসঙ্গে তিনি তার ব্যবসাকে সব সময় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই রাখতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
আরবি