ঢাকা: স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে দেশব্যাপী ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব’ এর দ্বিতীয় আসর।
বিকাশ ও বিজ্ঞানভিত্তিক মাসিক পত্রিকা বিজ্ঞানচিন্তার যৌথ আয়োজনে রাজধানীর সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল প্রাঙ্গণে ঢাকার ৮৩টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয় এ বিজ্ঞান উৎসব।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার লিও পেরেরা, রম্য লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব, কিশোর আলোর সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বিকাশের ইভিপি ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির, বিকাশের জেনারেল ম্যানেজার সায়মা আহসান, গবেষক ও অধ্যাপক মির্জা হাসানুজ্জামান, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসারসহ আরও অনেকে।
’বিজ্ঞানে বিকাশ’ স্লোগান নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চায় আগ্রহী করার লক্ষ্যে আয়েজিত এ উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে ঢাকার ৮৩টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে প্রায় ৯৭টি প্রকল্প উপস্থাপন করে। প্রকল্প উপস্থাপনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কুইজ পর্বেও অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞান প্রকল্পের সেরা ১০টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি কুইজে অংশগ্রহণকারী নিম্ন মাধ্যমিকে সেরা ১০ বিজয়ী ও মাধ্যমিকে সেরা ১০ বিজয়ীকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, যারা বিজ্ঞানী হতে চাও, তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে বিজ্ঞানের প্রতি নিরলস সাধনা করে যেতে হবে।
বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞানের প্রসারে শিক্ষার্থীদের এ সুযোগের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিকাশ গর্বিত। এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মানসিক ও চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটাবে। এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই বিজ্ঞানের যাত্রা এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন করছে এ উৎসবে। এখান থেকেই তৈরি হবে ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী, যারা তাদের উদ্ভাবন দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাড়তি চমক হিসেবে ছিল লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব। এছাড়া আয়োজন ছিল বিজ্ঞান ম্যাজিক ও রোবট প্রদর্শনীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
আরবি