রোববার (৮ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, আবেদন যথাযথ না হওয়ায় এটা উত্থাপতি হয়নি, এ মর্মে খারিজ হয়েছে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী।
আবেদনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯০ (এইচ) (ই) অনুযায়ী পরপর দুইবার সংসদ নির্বাচন না করলে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। ফলে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক-জাসদ (ইনু) নিজস্ব নির্বাচনী প্রতীকে নির্বাচন না করে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে। দু’টি দলের নিবন্ধনই বাতিল হতে বাধ্য।
একই বিধানের ৯০ (এ) ধারা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন করতে হয় ও তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। বিগত নবম ও দশম জাতীয় নির্বাচনে রাশেদ খান মেনন এবং হাসানুল ইনু দুই মেয়াদে ১৪ দলের নৌকা অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়, যা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৯০ (এ) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিটে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুকে নির্বাচন কমিশন থেকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরিবর্তে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অনুমতি কেন অবৈধ নয় এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে ১৪ দল বা ২০ দল নামে রাজনৈতিক জোট করা কেন অবৈধ নয়- সে মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়।
এছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের (ইনু) দলীয় নিবন্ধন বাতিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পিকার, ১৪ দলের সভাপতি, ২০ দলের সভাপতি, ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান ও বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ (ইনু) প্রধান ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে আবেদনে বিবাদী করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/এএটি/এটি