বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএইচ মো. নুরুল হুদা জায়গীরদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন।
বাকি দু’জনকে জামিন না দিয়ে তাদের মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আদালতে সাতজনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী বেহেশতী মারজান।
জামিন পাওয়া পাঁচজন হলেন- কুষ্টিয়ার রাসেল শেখ, মতিঝিলের মাসুদ, গাজীপুর বোর্ড বাজারের বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারভেজ ও নেত্রকোনার গারো তরুণ লিটন।
রাজধানীর বাড্ডার সাইদুর রহমান ও কেরানীগঞ্জের রাজীব হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকায় তাদের জামিন না নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এ সাতজনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রচারিত ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী বেহেশতী মারজান। এর পর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তাদের আদাতে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
সাতজনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইয়ুব শেখের ছেলে রাসেল শেখ রাজধানীর কাফরুল থানার একটি মামলায় ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-৩ বিচারাধীন এ মামলায় তাকে ৫৫ কার্যদিবস হাজির করা হয়।
রাজধানীর বাড্ডার আদর্শনগরের তাইবুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৫ সালের ০৬ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নারী ও শিশু আদালতে-৪ বিচারাধীন এ মামলায় সাইদুরকে ৫৯ বার আদালতে হাজির করা হয়।
কেরাণীগঞ্জের ইমানদীপুরের মাহবুব আলমের ছেলে রাজীব হোসেন খিলগাঁও থানায় দায়ের করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ০৬ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-৪ বিচারাধীন এ মামলায় ৪৪ কার্যদিবস হাজির করা হয়েছে তাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলার চান মিয়ার ছেলে পারভেজ কোতোয়ালি থানায় নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৪ সালের ০২ জুলাই থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নারী ও শিশু আদালতে-৩ বিচারাধীন এ মামলায় পারভেজকে ৪২ কার্যদিবস আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মতিঝিলের ওবায়দুর রহমানের ছেলে মাসুদ শ্যামপুর থানার এক মামলায় ২০০৩ সালের ০১ এপ্রিল থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-২ মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
নেত্রকোনার কমলাকান্দার চেংগিনি এলাকার প্রসেন সাংমার ছেলে লিটন রাজধানীর উত্তরা থানার এক মামলায় ২০০৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-৮ বিচারাধীন এ মামলায় ৫৮ কার্যদিবস হাজির করা হয়েছে তাকে।
গাজীপুরের জয়দেবপুরের বোর্ডবাজার এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে বাবু রমনা থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নারী ও শিশু আদালতে-৩ বিচারাধীন এ মামলায় বাবুকে ৪৪ কার্যদিবসে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
ইএস/জিপি/এসএইচ
** ‘বিনা বিচারে’ কারাবন্দি ৭ জনকে হাজির করতে হবে বৃহস্পতিবার