এ বিষয়ে মামুনের করা আবেদন রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খারিজ করে দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সাব্বির হামজা।
সাব্বির হামজা জানান, ২০১১ সালে হওয়া অর্থপাচারের অভিযোগের এ মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বিচারাধীন রয়েছে।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
মামলায় বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনীকিকরনের কাজ পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। না হলে কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনীকিকরনের কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দিয়ে আদায় করা প্রায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা কমিশন কয়েক দফায় বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৫ সালে এ মামলায় দুই সাক্ষী শাহজাদ আলী ও তাহমিনাকে আসামি করতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর তারা রাজসাক্ষী হতে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন।
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুন। রোববার হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর