ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

বিদ্রোহে চাকরিচ্যুত ৬৭৪ আনসারকে পুর্নবহালের রায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
বিদ্রোহে চাকরিচ্যুত ৬৭৪ আনসারকে পুর্নবহালের রায়

ঢাকা: ১৯৯৪ সালে  আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া ৬৭৪ জনের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তাদের চাকরিতে পুর্নবহাল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 

তবে যাদের সক্ষমতা নেই তাদের যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।
 
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা পৃথক দুটি রুল যথায়থ ঘোষণা করে এই রায় দেন।


 
রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে আদালতের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
 
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. সাহাবুদ্দিন খান লার্জ ও রাশেদুল হক খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন।
 
রায়ের পর আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর সংঘটিত আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত ৬৭৪ জন আনসারকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যাদের শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তারাই চাকরি ফেরত পাবেন।  

‘কিন্তু যাদের সক্ষমতা নেই তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলেছেন আদালত। এ নির্দেশ রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ’
 
এর আগে গত বছরের ১৩ এপ্রিল ২৮৯ জন এবং ১০ জুলাই ১৪৪৭ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
 
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
 
এ ঘটনায় পরবর্তীতে ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কর্মকর্তারা চাকরিতে পুনর্বহাল হলেও বাকি ২ হাজার ৪৯৬ আনসারকে চাকরিচ্যূত করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ৭টি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এরমধ্যে ১৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পান। এ অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।
 
এ কারণে প্রথমে ২৮৯ জন ও পরে ১৪৪৭ জন চাকরি পুর্নবহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
পরবর্তীতে পৃথক দুটি রিটের প্রেক্ষিতে রোববার রায় ঘোষণা  করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।