তবে যাদের সক্ষমতা নেই তাদের যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা পৃথক দুটি রুল যথায়থ ঘোষণা করে এই রায় দেন।
রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে আদালতের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. সাহাবুদ্দিন খান লার্জ ও রাশেদুল হক খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন।
রায়ের পর আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর সংঘটিত আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত ৬৭৪ জন আনসারকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যাদের শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তারাই চাকরি ফেরত পাবেন।
‘কিন্তু যাদের সক্ষমতা নেই তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলেছেন আদালত। এ নির্দেশ রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ’
এর আগে গত বছরের ১৩ এপ্রিল ২৮৯ জন এবং ১০ জুলাই ১৪৪৭ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কর্মকর্তারা চাকরিতে পুনর্বহাল হলেও বাকি ২ হাজার ৪৯৬ আনসারকে চাকরিচ্যূত করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ৭টি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এরমধ্যে ১৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পান। এ অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।
এ কারণে প্রথমে ২৮৯ জন ও পরে ১৪৪৭ জন চাকরি পুর্নবহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
পরবর্তীতে পৃথক দুটি রিটের প্রেক্ষিতে রোববার রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
ইএস/এমএ