বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অমেলা রানী শ্যামনগর উপজেলার কালমেঘা গ্রামের মনোরঞ্জন মন্ডলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অমেলা রানী মন্ডল বাদী হয়ে পরিতোষ মন্ডলসহ ১৩ জনকে আসামি করে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টায় শ্লীলতাহানি ঘটায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি মামলাটি মিথ্যা উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত একই বছরের ৮ মার্চ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। পরে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করায় পরিতোষ মন্ডল বাদী হয়ে মিথ্যা মামলার বাদী অমেলা রানী মন্ডলকে আসামি করে আদালতে ১৭ ধারায় পাল্টা মামলা করেন।
এ মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি অমেলা রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
জিপি