সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার হাড়িটানা গ্রামের শানু হাওলাদারের ছেলে মো. কাওসার ওরফে লিটন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার স্বামীর লিটনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী অভিযোগ, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য তার স্ত্রী নাজমার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে না পারায় পিটিয়ে জখম করেন আসামি লিটন। নাজমা পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে গেলে থানা-পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তিতে বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনাল ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে সোমবার বাদীর স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাদী নাজমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে চরিত্রহীন বানানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা পারেনি। অনেক বার স্বামীর কাছে যেতে চেয়েছি। আমার স্বামী আমাকে গ্রহণ করেনি। ’
আসামি কাওসার ওরফে লিটন দাবি, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
জিপি