বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতের এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল কুমারখালী উপজেলার কোমরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ওমেদ আলীর ছেলে।
এছাড়া বাকি আট জনের তিন মাস করে সাজা দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- খাইরুলের ভাই ফারুক হোসেন (৩২) এবং বাবা ওমেদ প্রামাণিক (৬০), মৃত. ময়েন উদ্দিন ছেলে আছান প্রামাণিক (৫৮), আবুল কাশেম (৪৮), ওছেল প্রামাণিক (৫০) মৃত. সৈয়দ আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান (৪০), সদর উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) জুমারত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিহত বাবুল হোসেনের (১৪) বাবা এজাহারকারী পলাশ উদ্দিনের বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী হামলা চালিয়ে এজাহারকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এসময় বাবুল ঠেকাতে গেলে তাকেও আসামিরা এলোপাতাড়িভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় বাবুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আকরাম হোসেন দুলাল বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৫ মে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন কুমারখালী থানা পুলিশ। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের যার বিরুদ্ধে যতটুকু জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
রায় ঘোষণাকালে আসামিরা সবাই উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিপি