বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আক্তার কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার উত্তর পুমদী গ্রামের মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আক্তার হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার শহীদুল্লাহর ভিটে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ২০১১ সালের ১৯ জুলাই বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আক্তার হোসেনসহ আসামিরা শাবল, লোহার রড, কোদাল ও কাঠের লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে শহীদুল্লাহ ও তার বাবা তাহের উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাহের উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৩০ জুলাই তাহের উদ্দিন মারা যান।
এ ঘটনায় শহীদুল্লাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান খান ২০১২ সালের ২৪ জুলাই আক্তার হোসেনসহ পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আফির উদ্দিন ও নার্গিসকে বেকসুর খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র দে ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কুলেশ চন্দ্র নাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
জিপি