এছাড়াও আসামি আলম, তাজউদ্দীন, আবু তাহের ডিকরা, মহসিনা বেগম, মুক্তা বেগম, সেলিনা বেগম, রেহেনা বেগম, জাহেরা বেগম ও মহসিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রোববার (৩১ মার্চ) জনাকীর্ণ আদালতে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মাত্র চার শতক জমি বিক্রি করা নিয়ে মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সঙ্গে আসামি পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০০৩ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে মোহাম্মদ আলী ধান ক্ষেতে পানি সেচ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আবু তাহেরের বাড়ির কাছে পৌঁছলে জাহেরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারপিট করে।
এসময় জাহেরুল লোহার রড দিয়ে মোহাম্মদ আলীর মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। তার চিৎকারে নিহতের অপর ভাই-ভাবিসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদেরকেও মারপিট করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মোহাম্মদ আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে হরিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার আদালত একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
জিপি