বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষী টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফের হাজিরা দেওয়া হয়।
দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। গত ১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণবেঞ্চ ১৪ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। অন্য একটি মামলায় জামিন স্থগিত থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এ মামলায় রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
জিপি