ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ৫ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ৫ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩)  নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ আসামির প্রত্যেককে আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুর অড়াইটার দিকে বাজিতপুর থানা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) সারোয়ার জাহান পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

>> কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

রিমান্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- গাজীরপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সালুয়াটেকি গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু (৩৯), একই উপজেলার বীরউজলী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে বাসের হেলপার লালন মিয়া (৩২) একই উপজেলার লোহাদী গ্রামের নজর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক (৩০), কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩৮) এবং বাজিতপুর উপজেলার নীলক্ষি গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদ ভূঁইয়ার ছেলে বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বকুল (৫০)।

কিশোরগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক তফিকুল ইসলাম তৌফিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

>> চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে তরুণীর মৃত্যু, ধর্ষণের অভিযোগ

এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) দিনগত রাতে নিহত তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে। এছাড়া ডিএনএ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ওইদিন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর ময়না-তদন্ত সম্পন্ন করে। পরে রাতেই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।  

সোমবার (৬ মে) রাতে শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়ার ঢাকা থেকে বাসে করে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার গজারিয়া-জামতলী এলাকায় ওই তরুণী ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এ ঘটনায় বাসের চালক নূরুজ্জামান ও হেলপার (সহকারী) লালন মিয়াসহ  মোট পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।

আটকরা বলছেন, সব যাত্রী নেমে যাবার পর তানিয়া নিজেকে একা দেখে চলন্ত বাস থেকে দৌড়ে নেমে যাচ্ছিলেন। এসময় হেলপার বাধা দিলে তিনি বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন।  

নিহত তানিয়া উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।