সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে সুজানগরে অবাধে পরিযায়ী পাখি শিকার বিষয়ক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবনার সুজানগরে অবাধে পরিযায়ী পাখি নিধন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারিসহ কিছু সৌখিন শিকারি এ অনৈতিক কাজ করছেন। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে রাজহাঁস, চখা, পানকৌড়ি, পাতিহাঁস, কাজলাদিঘিসহ বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসে সুজানগরের গাজনার বিলসহ পদ্মার চরাঞ্চলে। এ বছরও শীতের শুরুতেই পরিযায়ী পাখিরা আশ্রয় নেয় গাজনার বিল ও পদ্মার চরাঞ্চলসহ আশপাশের বিলে।
বিলপাড়ের শারীরভিটা গ্রামের বাসিন্দা বাদশা শেখ জানান, মাঝেমধ্যেই শিকারিরা বিলে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে নির্বিঘ্নে পরিযায়ী পাখি শিকার করছে। দিনে-রাতে পাখি শিকার করে তারা স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করে চলেছে। এর সঙ্গে বেশকিছু সৌখিন শিকারিও মাঝেমধ্যে নিজেদের বৈধ বন্দুক দিয়ে বিল ও চরাঞ্চল থেকে অতিথি পাখি শিকার করছে। সৌখিন শিকারিরা অতিথি পাখির পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে ঘুরে দেশি পাখিও শিকার করে থাকে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
ইএস/এইচজে