মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম এ রায় দেন।
আদেশে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় পাঁচজনকে দেড় বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪৭১ ধারায় আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে সাজেদুর রহমান, একই এলাকার কাউছার ওরফে বেলুর ছেলে জোবায়ের হোসেন ওরফে পলাশ, নলডাঙ্গা উপজেলার কাটুয়াগাড়ী এলাকার বাবুল মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান, একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আমির আলী এবং গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁসমারি গ্রামের মৃত মজিদ মণ্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
নাটোর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান ওই পাঁচজন। এদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহীর শারদা পুলিশ একাডেমি ও দু’জনকে সিলেট পুলিশ একাডেমিতে ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাইয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যের সনদ ভুয়া বলে তদন্তে বেড়িয়ে আসে।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় নাটোর পুলিশ লাইনের আরও-১ মামুনুল হক বাদী ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি, ডিবি) আবু বক্কর সিদ্দিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় দেন বিচারক।
পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, আদালতের বিচারক আদেশে দুইটি পৃথক ধারায় সাজা ও জরিমানা করেন। এতে উল্লেখ করা হয় আসামিদের একটির সাজা ভোগ শেষ হওয়ার পর অপরটির সাজা শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এসআরএস