মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) দুপুরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল করিম এ রায় দেন।
মামলার বিবরণ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কমল দত্ত বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ২২ জুন রাত ৯টার দিকে গলাচিপার গজারিয়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে শিশু ভাতিজা টুম্পাকে অপহরণ করে নিয়ে যান চাচা আতিকুল।
এরপর মোবাইলফোনে টুম্পার বাবা হুমায়ুন কবিরের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং পরের দিন ২৩ জুন ওই টাকা আতিকুলের কাছে পাঠানোর জন্য বলেন। তিনদিন পর ২৫ জুন সকালে আতিকুলের নীমহাওলা এলাকার নিজ বাড়ির পাশের কলাবাগানের মধ্য থেকে টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার দুইদিন পর ২৭ জুন টুম্পার বাবা হুমায়ুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৫ মাস পর ২৬ নভেম্বর শিশুটির চাচা আতিকুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আদালতের কাছে আতিকুলের টুম্পা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এসআরএস