বাংলাদেশের পেসারদের উন্নতির ছাপ এমনিতে স্পষ্ট। তাদের দায়িত্ব নিয়ে অ্যানাল ডোনাল্ড আসার পর খালেদ আহমেদ-এবাদত হোসেনরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে।
ঢাকা টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসার পর ডোনাল্ডের কাছে প্রশ্ন গিয়েছিল এ নিয়ে। ১০ টেস্টের ১৭ ইনিংসে ২১ উইকেট নেওয়া খালেদ এখনও শিখছেন বলে মনে করেন পেস বোলিং কোচ। তিনি বলছেন, ভুল করা লোকদের পছন্দ করেন। ডোনাল্ড টেনেছেন নিজের তরুণ বয়সকেও।
তিনি বলেছেন, ‘খালেদ কতগুলো টেস্ট খেলেছে? পাঁচ, ছয় অথবা সাত। সে এখনও শিখছে, ভুল করবেই। যারা ভুল করে, এমন মানুষদের আমি পছন্দ করি। আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন আমাকেও ছাড় দেওয়া হতো এসবে, কিছু বলতো না। এটাই খালেদ। তার ব্যাপারে আমি ইতিবাচক যে শক্তিটা বাড়াতে চাই, আনপ্রেডিক্টেবেলিটি। এটা তার শক্তি। সে একটা দুর্দান্ত বলের পরেরটাই লেগ সাইডে করতে পারে। ’
ডোনাল্ডের নিজের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাও অনেক। ৭২ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন ৩৩০ উইকেট। দীর্ঘদিন লাল বলে খেলার অভিজ্ঞতাকে টেনেছেন তিনি। বলছেন, খালেদের বয়সে থাকতে নিজে যে স্বাধীনতা পেতেন; সেটা দিতে চান তাকেও।
প্রোটিয়া কোচ বলেছ্নে, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে খালেদের ভেতর একটা আসল চালিকাশক্তি আছে। সে একটা বড় শক্তিশালী ছেলে যে শিখতে চায়। প্রতিদিন প্রশ্ন করে। এটা কোনো অপরাধ না। এই গ্রুপের কাছ থেকে আমি এটাই চাই। ’
‘আমি এখানে আছি কাঁধ থেকে শেকল সরাতে, স্বাধীনতা দিতে ও উপভোগ করাতে। আক্রমণাত্মক হতে হবে। যদি খালেদ কোহলিকে লেগ সাইডে ফেলে আউট করতে পারে, আমার বইয়ে এটাই দারুণ। আমি খালেদকে নিয়ে চিন্তিত না। সে শিখতে ও সফল হতে চায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ